পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান-পাবনা জেলার বিখ্যাত খাবার

পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান সম্বন্ধে যদি জানতে ইচ্ছুক হয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে থাকেন, তাহলে আজকে এই পোস্টটি আপনার জন্য । আজকে আমরা পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান ও পাবনা জেলার বিখ্যাত খাবার সম্বন্ধে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি।  আসুন তাহলে আজকে জেনে নেই পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান ও পাবনা জেলার বিখ্যাত খাবার সম্বন্ধে ।

পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এটিও অবস্থিত পাবনা জেলায় । পাবনা জেলায় অনেক কিছু আছে সেগুলো সম্বন্ধে জানতে আমাদের পুরো পোষ্টের পড়ার অনুরোধ রইলো ।

ভূমিকা

পাবনা জেলার রাজশাহ বিভাগে অবস্থিত । উত্তরের নাটোর সিরাজগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলা ,পূর্বে মানিকগঞ্জ জেলা যমুনা নদীর এবং পশ্চিমে পদ্মা নদী । পাবনা জেলার লোকো কথা ,লোক সংগীত ,কৌতুক, লোক গাঁথা এসব সঙ্গীতে সাংস্কৃতি সমৃদ্ধ ।

আজকে আমরা পাবনা জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বন্ধে এবং পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো ।

পাবনা জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য

আসুন আমরা পাবনা জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার আগে পাবনার অবস্থান ও আয়তন সম্পর্কে জেনে নেই । পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত, এর উত্তরে নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলা দক্ষিণে পদ্মা নদী রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলা , পূর্বে মানিকগঞ্জ জেলা যমুনা নদী পশ্চিমে পদ্মা নদী। জেলের মোট আয়তন ২৩৭১.৫০ বর্গ কিলোমিটার।

 
জনসংখ্যা ২০১১ সালের জরিপ মতে ২২,৬০,৫৪০ জন।পাবনা জেলা সতন্তভাবে স্বীকৃতি লাভ করে ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬অক্টোবরে। সর্বপ্রথম পাবনা জেলা গঠিত হয় বৃহত্তর রাজশাহীর পাঁচটি এবং যশোরের তিনটি থানা নিয়ে। বিভিন্ন সময় এবং ঘটনার সাথে সাথে এর সীমানার পরিবর্তন হয় । বঙ্গ দেশে নীল চাষীরা নীল বিদ্রোহ সংঘটিত করে ১৮৫৯ থেকে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে।


নীল বিদ্রোহ দমনের জন্য ১৮৫৯ সালে প্রথম কালেক্টর নিযুক্ত হয়। ১৮৫৭ সালে পাবনা জেলা চলে যাই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনাধীনে।বিভিন্ন মতামত প্রতিষ্ঠা আছে পাবনা জেলা নামকরণে। কনিং হাম যিনি ছিলেন একজন প্রত্ন-তাত্ত্বিক তার মতে প্রাচীন রাজ্য পুন্ড্র-বর্ধন বা পুন্ড্র নাম অনুসারে পাবনা নামের উৎপত্তি। 


গঙ্গা নদীর উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল পুন্ড্র-বর্ধন, বিভিন্ন চলিত ভাষার উচ্চারণের পরিবর্তনের ফলে পাবনা নামে প্রচলন হয়ে আসে।বর্তমানে এই জেলার উপজেলার সংখ্যা ৯ টি ,থানার সংখ্যায় ১১টি, পৌরসভার সংখ্যা ৯টি, ইউনিয়নের সংখ্যা ৭৪ টি, মোট গ্রাম আছে ১৫৪৯টি।

পাবনা কিসের জন্য বিখ্যাত

পাবনা জেলা লোকসংস্কৃতিতে প্রসিদ্ধ । লোককথা, লোকসংগীত,কৌতুক লোকনৃত্য, লোকোগাঁথা এইসব সঙ্গীতে সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। বস্ত্র শিল্পে জেলা অনেক প্রাচীনকাল থেকে প্রসিদ্ধ । তাঁতিসম্প্রদায়ের তৈরি দোগাছির লুঙ্গি গামছা ও শাড়ি দেশ খ্যাত যা বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। 

এলাকায় উৎপন্ন ইক্ষু যার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সুগার মিল, উৎপন্ন হয় প্রচুর পরিমাণে সরিষা ,পাবনায় উৎপাদিত দুধ যা দিয়ে তৈরি দুই এবং ঘি দিয়েছে বিশেষ খ্যাতি।

পাবনা জেলার বিখ্যাত স্থান

মসমাসুম খাঁ মসজিদ : যা অবস্থিত পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে ।ঐতিহাসিক মসমাসুম খাঁ মসজিদ তৈরি হয় প্রায় চার শতাধিক বছর পূর্বে।
  • জোড়া বাংলা মন্দির :পাবনার দক্ষিণ রাঘবপুরে শহরের পূর্ব পশ্চিমে এই মন্দিরটি অবস্থিত। জোড়া বাংলা মন্দির বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
  • বনমালী রায় বাহাদুরের তাড়াশ বিল্ডিং: বনমালী রায় বাহাদুরে তাড়াশ বিল্ডিং যা পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এখন পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় আছে। তাড়াশের জমিদার পাবনার সবচেয়ে নামকরা এবং পুরাতন জমিদার।
  • শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম-মন্দির: শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সঙ্গম (আশ্রম-মন্দির) অবস্থিত পাবনা শহরের সন্নিকটে হেমায়েতপুরে গ্রামে। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ছিলেন হেমায়েতপুর গ্রামের শিবচন্দ্র চক্রবর্তী এবং শ্রী যুক্ত মনোমোহিনী দেবীর পুত্র।
  • মানসিক হাসপাতাল: পাবনা মানসিক হাসপাতাল পাবনা শহর থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত ১৯৫৭ সালে এই হসপিটালটি প্রতিষ্ঠিত হয় ।মানসিক চিকিৎসার জন্য দেশে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান পাবনার মানসিক হসপিটাল।
  • হার্ডিং ব্রিজ ও লালনশা সেতু: ইশ্বরদী উপজেলার পাকশিতে হার্ডিং ব্রিজ ও লালনশা সেতু অবস্থিত , বাংলাদেশ রেলের পশ্চিম অঞ্চলের বিভাগীয় হেড কোয়াটার পাকশি গ্রামে অবস্থিত।
  • রুপপুর পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প: বাংলাদেশের পরিকল্পিত ২.৪ গিগা ওয়ার্ড ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা অবস্থিত ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে যার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০০৯ সালে।
  • ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা ইনস্টিটিউট: ডাল গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৯৫ সালে সিডিবি ফেস১ প্রকল্পের মাধ্যমে, ইহা পাবনা ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত 
  • ঈশ্বরদী ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট: বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান কার্যালয় যা ঈশ্বরদী পৌরসভার সদরে অবস্থিত এর মোট আয়তন ২৩৫ একর। ১৯৫১ সালে ১৭ জন কর্মচারী নিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার গঠন করে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র।পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে “ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট” নামে নামকরণ করা হয়।ঈশ্বরদী থেকে ২ কিলোমিটার দূরে।
  • ঈশ্বরদী রেল জংশন: ব্রিটিশ আমলে নির্মিত প্রায় একশো বছর পুরনো ঈশ্বরদী রেল জংশন ও ইয়ার্ড বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম রেল স্টেশন জংশন এটি ।যা পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভায় অবস্থিত।
  • ঈশ্বরদী ইপিজেড: ঈশ্বরদী উপজেলা হতে ৬ কিলোমিটার দূরে পাকশিতে ঈশ্বরদী (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা) ইপিজেড অবস্থিত । ২০০৫ সালে এটি কাজ শুরু করে ,এই প্রকল্পের মোট আয়তন ১২৮.৪৬ একর।
  • পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ: ১৮৮৯ সালের জুলাই মাসে স্বনামধন্য পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি স্থাপিত হয় পাবনা এডওয়ার্ডের নামকরণ হয় ১৯১১ সালে গতকালীন ভারতের শাসক সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের স্মৃতির স্মরণে।
  • নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল : পাবনার পাকশীতে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের অন্যতম এই কাগজ কল প্রতিষ্ঠিত হয় যা বর্তমানে বন্ধ আছে।

পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

এ কে খন্দকার :  তার পুরো নাম আব্দুল করিম খন্দকার । তিনি বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন, এয়ার ভাইস মার্শাল তার পদবি ছিল অবসর গ্রহণের সময় । ২০০৯ সালের তিনি বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন । সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলে । তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এ .কে. খন্দকার জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩০ সালে পহেলা জানুয়ারি পাবনা জেলা ,বেড়া উপজেলা, ভারেঙ্গা গ্রামে । 

তার পিতা খন্দকার আব্দুল লতিফ ,ব্রিটিশ আমলে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। এক বেন ও চার ভাই এর মধ্যে এ.কে. খন্দকার ছিলেন তৃতীয়। তার পিতা বগুড়াতে চাকরি করতেন, সেই সুবাদেই তিনি বগুড়া করোনেশন স্কুলে পড়াশোনা করেন । সেপ্টেম্বর ১৯৫২ সাল পি এ এফ থেকে কমিশন লাভ করেন । 

তিনি ১৯৫৭ সালে পাকিস্তানের এয়ার ফোর্স একাডেমিতে যোগ দেন । পি এ এফ প্লাটিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৬৯ সালে আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন । সেকেন্ড ইন কমান্ডার হিসেবে ১৯৬৯ সালে দেশের দায়িত্ববান ঢাকায় বেইসের দায়িত্ব পান ।

জিয়াউর রহমানের সময়ে ভারতে বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৭৭ সালে। ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ।

বন্দে আলী মিয়া :  পাবনা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি বন্দে আলী মিয়া একজন বাংলাদেশী কবি শিশু সাহিত্যিক উপন্যাসিক সাংবাদিক ও চিত্রকর। পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন বন্দে আলী মিয়া। তার জন্ম ১৯০৬ সালে ১৭ই জানুয়ারি এবং মৃত্যু ১৯৭৯সালে২৭ জুন।

১৯২৩ সালে পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে ম্যাট্রিক্স পাশ করেন এরপরে তিনি ভর্তি হন কলকাতার ৮ একাডেমিতে সেখানে তিনি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন ১৯২৫ সালে কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ।

ঢাকা বেতার ওপরে রাজশাহী বেতারের চাকরি করেন ১৯৪৬ সালের পর । পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা নৈপুণ্য পরিচয় প্রদান করেন । তার কবিতায় অমর হয়ে আছে তার রচিত শিশুতোষ গ্রন্থগুলো। তার গ্রন্থগুলি হলো
  • ময়নামতির চর
  • গোধূলি
  • অরণ্য
  • ঝড়ের সংকেত
  • অনুরাগ জীবনের দিনগুলো
  • শিশুতোষগ্রন্থ গুলো হল
  • মেঘকুমারী
  • চোর জামাই
  • মিরপুরি মৃগ পরী
  • বোকা জামাই
  • ডাইনি বউ
  • রূপকথা
  • ছোটদের নজরুল
  • শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা
  • বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
সুচিত্রা সেন প্রমথ চৌধুরী   :  সুচিত্রা সেন পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত অভিনেত্রী । উত্তম কুমারের সাথে অভিনয় করে সারা বাংলার প্রচন্ড জনপ্রিয় তিনি । সেরা জুটি হিসেবে উত্তম সুচিত্রা জুটি আজও বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ ।

সোনাভাঙ্গা জমিদার বাড়িতে, বেলকুচি উপজেলার, সিরাজগঞ্জ জেলায় ,১৯৩১ সালে ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম রমা দাশগুপ্ত পরবর্তীতে সুচিত্রা সেন নামে পরিচিত হন। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পাবনা শহরের দিলালপুর এর বাড়িতে । 

পাবনার সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এর ছাত্রী ছিলেন সুচিত্রা সেন পাকিস্তান ও ভারত এর যুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে চলে যান ১৯৬০ দশকে তিনি পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন তৃতীয় । শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন ১৯৫২ সালে । তবে তার এই ছবিটি মুক্তি পায়নি। 

তারপর উত্তম কুমারের সাথে সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে অভিনয় করেন । ছবিটি অনেক সাফল্য লাভ করে । এরপরে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসর গ্রহণ করে ১৯ ৭৮ সালে । উত্তম কুমারের সাথে অভিনীত চলচ্চিত্র গুলি হল
  • সাড়ে চুয়াত্তর
  • ওরা থেকে ওয়ারে
  • অগ্নিপরীক্ষা
  • পাপমোচন
  • সবার উপরে সাগরিকা
  • পথে হল দেরি
  • প্রণয় পাশা
  • প্রিয় বান্ধবী
  • হারানো সুর
  • দীপ জ্বলে যায়
  • সপ্তপদী
  • বিপাশা
  • সাতপাকে বাধা
  • চাওয়া পাওয়া
  • শিল্পী
  • হাসপিটাল
  • ইন্দ্রানী
  • রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত
  • সূর্য তোরণ
  • গৃহদার
প্রমথ চৌধুরী : পাবনা জেলায় হরিশপুর গ্রামে ১৯ ৬৮ সালে ৭ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে। ব্যারিস্টারি পড়তে বিলাত যান । বিলেত থেকে ফিরে তিনি ব্যারিস্টারি না করেই, ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন।তার সাহিত্যের ছদ্মনাম ছিল’ বীরবল’ তার নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যের নতুন গদ্যধারা সূচিত হয় । তার রচনা গন্থ সমূহ গুলো হল
  • বীর বলের হালখাতা
  • তেল নুন লাকড়ি
  • চার-ইয়ারির কথা
  • রায়তের কথা
  • আহুতি
  • নীল লোহিত
  • পদচরণ
  • প্রাচীন বঙ্গ সাহিত্য হিন্দু ও মুসলমান
  • নানা চর্চা
  • প্রবন্ধ সংগ্রহ
পাবনা জেলায় আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি আছেন তারা হলেন
  • স্যামসন এইচ চৌধুরী
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • কামাল লোহানি
  • ড. এ .বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম

পাবনা জেলার বিখ্যাত খাবার

পাবনা জেলার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘি । দেশের সব জায়গায় ঘি পাওয়া যায় কিন্তু, পাবনা জেলার ঘি অনেক নাম করা । বিদেশেও পাবনা জেলার ঘি অনেক কদর । সবাই এক কথায় চিনে।পাবনা জেলার ঘি আর পদ্মার ইলিশ এরপরে আর কোন কথা বলার থাকে না ।

লেখকের মতামত

আজকে আমরা পাবনা জেলার সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি । আপনি যদি পুরো পোষ্টটি পড়ে থাকেন ,।তাহলে পাবনা জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যসম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারবেন । এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন । তারাও যেন পাবনা জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url