নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম
আপনারা হয়তো নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন। আজকে এই আর্টিকেলের মধ্যেমে নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম ও নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব । সে সম্বন্ধে জানতে নিচের আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার অনুরোধ রইলো ।
নিচে নাটোরের প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।আশা করি নিচের পয়েন্টগুলো ভালো করে পড়লে , নাটোরের প্রাচীন ইতিহাস বা নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্বন্ধে জানতে পারবেন ।
ভুমিকা
রাজা মহারাজাদের বাসস্থান ছিল উত্তরা গণভবন বা দ্বিঘাপতিয়া রাজবাড়ী । নাটোর শহরে এটা অবস্থিত । ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন । উত্তরা গণভবনের মধ্যে ১৯ মার্চ ২০১৮ সালে এই সংগ্রহশালাটা স্থাপিত হয় । নাটোর জেলা উৎপন্ন একপ্রকার মিষ্টি , যা দুধ দিয়ে তৈরি হয় এই কাঁচা গোল্লা ।২০২৩ সালে ৮ অক্টোবর দেশে ১৭ নং জিআইপি পণ্য হিসেবে নাটোরের কাঁচাগোল্লা স্বীকৃতি পেয়েছে ।
নাটোরের বিখ্যাত স্থান
অতীতের রাজ রাজাদের স্মৃতি প্রত্নতত্ত্ব ইতিহাসের সোনালী দিনগুলো বুকে ধারণ করে নিরব সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে নাটোরে ভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ।জীবনানন্দ দাশের নাটোরের বনলতা সেনকে মানুষ ভালোভাবেই জানে ।আমাদের নাটোরে অবস্থিত উত্তরা গণভব,নাটোরের রাজবাড়ী, দয়রামপুরের জমিদার বাড়ি, নাটোরে চলন বিল, ধরাইলে জমিদার বাড়ি ছাড়াও রয়েছে শহীদ সাগর , লালপুরের পদ্মারচর, চলনবিল জাদুঘর, গোসাই আখরা এগুলো সবই ।
উত্তরা গণভবন : নাটোরের বিখ্যাত স্থান উত্তরা গণভবন ১৮ শতকে নির্মিত দিঘাপতিয়া রাজাদের বাসস্থান। এটা নাটোর শহরে অবস্থিত ।নাটোর শহর থেকে প্রায় ২.৪ কিলো দূরে অবস্থিত। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা দয়ারাম রায় ১৭৩৪ সালে প্রায় ৪৩ একর জমির উপর দিঘাপতিয়া প্রাসাদ মূল অংশ এর সামনে সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেন ।
১৮৯৭ সালে ১২ ই জুন প্রায় ১৮ মিনিটের ভূমিকম্পে রাজপ্রাসাদ টি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ,রাজা প্রমোদনাথ রায় সম্পূর্ণ প্রাসাদটি পুনরায় নির্মাণ করেন । উত্তরা গণভবনের মধ্যে উত্তরা গণভবনের সংগ্রহশালা অবস্থিত। অতীতের সাথে বর্তমানের মেলবন্ধন তৈরি করেছে এই সংগ্রহশালা।
৩০০ বছর আগের ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দে দয়ারাম রায় উত্তরা গণভবন খ্যাত দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীর গড়পত্তন করেন । ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে রাজবাড়ীতে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হওয়ার পর থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর ধরে বিদেশি প্রকৌশলী, চিত্রশিল্প এবং কারিগরদের সহযোগিতায় এই নয়নাভিরাম রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করেন। দিঘাপতিয়া রাজ পরিবারের নিয়ে এই সংগ্রহশালা পূর্ণতা দেওয়া হয়ছে।
রাজবাড়ি : অষ্টাদশ শতকে নাটোরের রাজবাড়ির উৎপত্তি হয়। নাটোর সদর উপজেলায় রাজবাড়ি অবস্থিত। যা নাটোর রাজবাড়ী একটি স্মৃতিচিহ্ন।১৭৩০ সালে রানী ভবানীর সাথে রাজা রামজীবনের দত্তক পুত্র রামকান্ত বিয়ে হয় ।রাজা রামজীবনের মৃত্যুর পর রামকান্তে রাজা হন।১৯৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পরে , আলিবর্দি খাঁ রানীর উপর জমিদারি পরিচালনা দায়িত্ব অর্পণ করেন ।
রানী ভবানী রাজত্বকালে জমিদারি বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা ,বগুড়া ,কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর,পশ্চিমবঙ্গে ,মুর্শিদাবাদ ,বীরভূমি, মালদাহ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত্ব ছিল ।এই রাজবাড়ীর মোট আয়তন ১২০ একর । ছোট বড় ৮টি ভবন দুইটি গভীর পুকুর ও ৫ ছোট পুকুর আছে। পুরো এলাকা দুইটি ভাগে বিভক্ত । রাজবাড়ীর উল্লেখযোগ্য মন্দির গুলো হল শ্যামসুন্দর মন্দির ,আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির, তারকেশ্বর শিব মন্দির ।
দয়ারামপুরের জমিদার বাড়ি: দিঘাপতিয়া জমিদার বংশধরদের উত্তরসূরী দয়ারামপুর জমিদার বংশরা । বাংলাদেশে নাটোর জেলা বাগাতিপাড়া উপজেলা দয়রামপুরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি । দয়রামপুর জমিদার বাড়ি শরৎচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি নামে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই সেনাবাহিনী সেনানিবাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই জমিদার বাড়ি ।
কাদেরাবাদ সেনানিবাস এর আরেকটি নাম রাজা দয়ারাম রায়ের নাম অনুসারে দয়রামপুরের এলাকা নামকরণ করা হয় । কুমার বসন্ত কুমার রায় ছিলেন প্রথম জমিদার এই জমিদার বাড়িতে । শ্রী বাবু শরৎচন্দ্র রায় ছিলেন শেষ জমিদার । শেষ জমিদার হিসেবে তিনি দয়ারামপুর রাজবাড়ীতে শেষ জমিদারি প্রথা বিলুপ্তর আগ পর্যন্ত বসবাস করেন ।
নাটোরের বিখ্যাত খাবার
কাঁচা গোল্লা : নাটোরের বিখ্যাত বনলতা সেন এর মতেই নাটোরের কাঁচাগোল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। ভোজন রসিক বাঙালিরা অতিথি আপ্যায়নের পরে মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন ।আর সেই দিক থেকে নাটোরের কাঁচাগোল্লারয়েছে আন্তর্জাতিক পরিচিতি । মিষ্টির নাম কাঁচাগোল্লা হলেও এটা দেখতে মোটেও গোলাকার নয় আবার কাঁচাও নয় ।
আরও পড়ুন: বগুড়া জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
নাটোরের কাঁচা গোল্লা নাটোরের বনলতা সেনের মতোই আলোচিত, সমাদৃত ।১৯৫৭ সালের পর থেকেই দানশীল রানী ভবানী রাজত্বকালে কাঁচা গোল্লার সুখ্যাতি ছড়াতে থাকে ।কালের বিবর্তনে অনেক পাটের পরিবর্তন ঘটলেও,কারিগরদের সুনিপন হাতের ছোঁয়ায় কাঁচা গোল্লার স্বাদ এবং ঐতিহ্য এখনো রয়েছে অটুট ।
অবাক সন্দেশ :আরও একটি নাটোরের বিখ্যাত খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু ও মুখকরচোক অবাক সন্দেশ নাটোরে আরেকটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ।নাটোরের প্রতিটি মিষ্টির দোকানে দেখা মিলবে এই সন্দেশের ।
নাটোর জেলা সম্পর্কে তথ্য
নাটোর জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগেয় অন্তর্গত। নাটোর জেলা প্রতিষ্ঠিত ১৯৮৪ সালে। জেলার মূল আয়তন ১৯০৫.০৫ বর্গ কিলোমিটার । আয়তন হিসেবে নাটোর দেশের ৩৫ তম । ভৌগোলিকভাবে নাটোর জেলা উত্তর নওগাঁ ও বগুড়া দক্ষিণে পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা , পূর্বে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা পশ্চিমের রাজশাহী জেলা অবস্থিত।
দেশের সবচাইতে কম বৃষ্টিপাত অঞ্চল হল নাটোরের লালপুর উপজেলা ।নাটোর জেলা সম্পর্কে তথ্য ও২০২২ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১৮৫৯৯৫৮ জন যা মোট জনসংখ্যার ১৯.১৭% শহরে ৮০.৮০% গ্রামে বসবাস করে ।নাটোর জেলা পৌরসভা ০৮ টি যার মধ্যে,নাটোর,সিংড়া গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ,বনপাড়া, গোপালপুর, বাগাতিপাড়া, নলডাঙ্গা ।
আরও পড়ুন: পাবনা মানসিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
নাটোরে মোট ৭ টি উপজেলা,৭টি থানা, ৫২টি ইউনিয়ন রয়েছে । যার মধ্যে নাটোর সদর উপজেলাই ইউনিয়ন আছে ৭টি , সিংড়া উপজেলায় ১২টি, গুরুদাসপুর উপজেলার ৬টি, বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৭টি, লালপুর উপজেলায় ১০টি,বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৫টি ,নলডাঙ্গা উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন । জেলায় মোট গ্রামের সংখ্যা ১৪৩৪টি যার মধ্যে আদর্শ গ্রাম আছে ২৮ টি।
নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
- হযরত ঘাসী দেওয়ান : তার আসল নাম জানা যায় না । লোকে তাকে ঘাসী দেওয়ান বলেই জানে । তার আস্তানা ছিল সিংড়া উপজেলার চলনবিল এলাকার তিসি খালিতে । তিনি ছিলেন হযরত আব্দুল কাদের জিলানী এর মুরিদ ।
- মহারানী ভবানী : নাটোরের রাজবংশের প্রথম রাজা ছিল রামজীবন । রামজীবনের পালিত পুত্র নাম ছিল রামকান্ত । বগুড়া জেলার অন্তর্গত আদমদিঘী উপজেলার সাতিয়ান গ্রামের আত্মারাম চৌধুরীর একমাত্র কন্যা ভবানী সাথে রামকান্তের বিয়ে হয় ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে । রাজা জীবনের মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার দয়ারাম কে রামকান্তের অভিভাবক নিযুক্ত করেন ।
রামকান্ত রাজা হলেও প্রকৃতপক্ষে রাজকার্যাদি সম্পন্ন করতে দেওয়ান দয়রাম ।১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামকান্ত পরলোকগমন করেন । স্বামীর মৃত্যুর পর আলিবরদি খাঁ , রানী ভবনের উপর রাজকার্য পরিচালনার ভার অর্পন করেন।তিনি অত্যন্ত যোগ্যাতা ও নিষ্ঠার সাথে তার জমিদারি পরিচালনা করেছিলেন ।
শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন । জনসাধারণের সুবিধার জন্য তিনি অনেক হাট ,বাজার , রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছিলেন । পানির কষ্ট নিবারণের জন্য বহু দিঘী ও পুকুর খনন করেছিলেন । ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে ৭৯ বছর বয়সে বড়নগর রাজবাড়ীতে রানী ভবানী মৃত্যুবরণ করেন ।
- মহারাজা জগদীশচন্দ্রনাথ রায় : মহারাজা জগদীশচন্দ্রনাথ রায় রাজবংশের দত্তক পুত্র ছিলেন।এই কৃতি সন্তান কালক্রমে জ্ঞানীগুণী রাজনীতিবিদ ও সমাজ সংগঠক নাটোর রাজ পরিবারের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছিলেন । জগদীশচন্দ্রনাথ ১৮৮৯সালের ৯ অক্টোবর রাজকার্যভার গ্রহণ করেন । ব্রিটিশ ভারত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রগতিবাদী চিন্তার ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান ছিল ।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার বিশেষ অবদান ছিল । তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলো হলো “নুরজাহান” “সন্ধ্যা তারা ’’ প্রধান । দানের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রণী । তিনি নাটোরের মহারাজা হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন । ১৮৯৩ সালে তিনি নাটোর ত্যাগ করে কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন ।নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি মহারাজা জগদীশচন্দ্রনাথ রায় ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ২৬শে ডিসেম্বর মোটর গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এবং ৫জানুয়ারি ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইহলোক ত্যগ করেন ।
নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম
শহীদ আব্দুস সালাম : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতোব প্রদান করেন । শহীদ আব্দুস সালামের জন্ম নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা ধুপ্ইল গ্রামের।আব্দুস সালাম সেনাবাহিনীর নবীন সেনা ছিলেন। ১৯৭০ সালের শেষে যোগ দেন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ।
কয়েক মাস পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ , তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে । ১৯৭১ সালে ১১ এপ্রিল প্রতিরোধ যুদ্ধকালে আব্দুস সালাম প্রথম যুদ্ধ করেন চট্টগ্রাম জেলা কালুঘাটে । পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণে বালুঘাটের পতন হলে । মুক্তিযুদ্ধের পিছু হটে অবস্থান নেন পাটিয়ায় ।২৯ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাহিনীর উপর আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ প্রতিরোধ করতে থাকেন ।
যুদ্ধ অব্যাহত থাকে ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধার অবস্থানে বেরপরোয়া আক্রমণ চালায় । সকাল দশটা পর্যন্ত তুমুল লড়াই চলে । মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণপণ লড়াই করে ,ব্যর্থ হন বিকেলে হুয়াকত নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানিদের হাতে । এরপর আব্দুস সালাম সহ মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে চলে যান । পুনর্গঠন হওয়ার পর জুলাই মাস থেকে তারা যুদ্ধ করেন ।
৫ নম্বর সেক্টরে যোগ দেওয়ার , কিছুদিন পরে আব্দুস সালাম শহীদ হন । বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক সম্মাননায় সম্মানিত করেন ।৫ মে ১০ ঘটিকায় ১৯৭১ সালে নদ বেঙ্গল সুগার মিল গোপালপুরে কর্মরত কর্মকর্তা শ্রমিকদের ওপর পাকিস্তানের পাখানাদার বাহিনী আক্রমণ চালায় ।
- অফ এল মুহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম
- আব্দুল মান্নান
- নুরুল হক
- সাইফুল উদ্দিন আহমেদ
- মান্নান ভূঁইয়া
- শহিদুল্লাহ
- আব্দুর রউফ
- মনসুর রহমান
- আবুল বাশার
- মকবুল হোসেন
- আজহার আলী
- সাজেদুর রহমান
- ইসমাইল হোসেন
- মোজাম্মেল হক
- মোহাম্মদ আলী
- ফিরোজ মিয়া
- মহারাব আলী
- আনোয়ারুল ইসলাম
টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url