খোস পাঁচড়া দূর করার ঘরোয়া উপায়

খোস পাঁচড়া হলে করনীয় , খোস পাঁচড়া দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি? সারকপটিস নামক ক্ষুদ্র জীবাণু আক্রমণে খোস পাঁচড়া হয়ে থাকে। খোস পাঁচড়া ছোঁয়াচে রোগ কি না ?এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করা হয়েছে । এ বিষয় জানতে পুরো পোস্ট টুকু পড়ার অনুরোধ রইল।
খোস পাঁচড়া দূর করার ঘরোয়া উপায়
খোস পাঁচড়া কী?খোস পাঁচড়া এক ধরনের ছোয়াচে রোগ। এটি একজনের কাছ থেকে অন্যজনার খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। খোস পাঁচড়া দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে নিচে জানানো হয়েছে ।খোস পাঁচড়া কেন হয় ও খোস পাঁচড়া লক্ষণ বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ।

ভূমিকা

স্কাবিস খুবই পরিচিত একটি সমস্যা । বাংলাতে একে খোস পাঁচড়া বা খুঁজলি নামে সবাই চেনে । শীতের সময় এর ব্যাপকতা অনেক বেড়ে যায় । যে কোন বয়সে হতে খোস পাঁচড়া পারে । শিশুদের মধ্যেও এর আক্রমণটা অনেক বেশি । খসপাঁচড়া হলে কি কি করণীয় সেসব বিষয়ে জানতে হলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

খোস পাঁচড়া কী

যে কোনো বয়সে মানুষের এই খোস পাঁচড়া রোগটি হতে পারে । খোস পচড়া শিশুদের মধ্যে এর আক্রমণটা একটু বেশি । সারকপটিস নামক ক্ষুদ্র জীবাণু আক্রমণে খোস পাঁচড়া রোগ হয়ে থাকে । খোস পচড়া একটি সংক্রমক রোগ । এটি ত্বকের মধ্যে ডিম পাড়ে এবং বাসা বাঁধে । খোস পাঁচড়া ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস নয়, এটি এক ধরনের কীটের কারণে হয়ে থাকে । খোস পাঁচড়া অত্যন্ত ছোঁয়াছে একটি রোগ ।

খোস পাঁচড়া কেন হয়

খোস পাঁচড়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। ইংরেজিতে স্কাবিস , কিন্তু বাংলাতে একে খোস পাঁচড়া বা খুঁজলি নামে সবাই জানে বা চেনে। শীত এলে এ সমস্যাটি আরো ব্যাপক আকারে বাড়ে । একই বিছানায় অনেকজন একসঙ্গে থাকলে । একই বালিশ, চাদর, তোয়ালে ব্যবহার করলে একজন থেকে আরেকজনের ছড়িয়ে যায়। 


খোস পাঁচড়া প্রধান উৎসই হল চুলকানি । রাত্রে এই চুলকানি আরো বেশি বেড়ে যায় । শরীরে বিভিন্ন জায়গায় খোস পাঁচড়া হয়ে থাকে । বগল ,কনুই ,হাতের দুই আঙ্গুলের ফাঁকে, লজ্জস্থানে , পশ্চাত দেশে বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে । খোস পাঁচড়া একটি ছোঁয়াচে রোগ । চামড়ার উপরে প্রথমে ছোট ছোট ফুসকুড়ি প্রকাশ পায় । 


এই ফুসকুড়ি গুলোতে অনেক চুলকানোর জন্য ক্ষতস্থানে সৃষ্টি হয় । স্কাবিস নামে পরজীবী এই ক্ষতস্থানগুলোতে বাসা বাঁধে ।স্ত্রী পোকাগুলা চামড়ার উপরিভাগে মৃত কোষের মধ্যে ডিম পাড়ে এবং অসংখ্য ভ্রুনের সৃষ্টি করে । তখন দেখা যায় শরীরে এক অঙ্গ থেকে আরেক অঙ্গের ছড়িয়ে যায়। যেহেতু খোস-পাছেরা ছোঁয়াচে রোগ ।

তাই এটি পরিবারের একজনের থেকে আরেকজনের খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে যায়।

খোস পাঁচড়া লক্ষণ

বেশিরভাগ খোস পাঁচড়া হয়ে থাকে শরীরের উষ্ণ অংশগুলোতেই । সাধারণত হাতের দুই আঙ্গুলের ফাঁকে, কব্জি , কুনুই সম্মুখভাগে ,স্তনে, নাভি নিচে ,তলপেট, বগল ,লজ্জাস্থানে ,পশ্চাৎদেশে দেখা দেয় এই খোস পাঁচড়া । বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পায়ের তলায় ,হাতে, গালে, ঘাড়ে ,মাথায় দেখা যায় এই খোস পাঁচড়া।স্কাবিস প্রধান লক্ষণ হল রাতের বেলায় অস্বাভাবিক চুলকানি।

খোস পাঁচড়া হলে করনীয়

  • প্রথমত এদিক-ওদিক ঘুরাঘুরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া । চিকিৎসক তার শারীরিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয় করেন ।
  • স্ক্যাবেজ এর জন্য চিকিৎসক যে ওষুধ বা লোশন দিয়েছে সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করা।
  • ব্যবহারের যে জামা কাপড় সেগুলো নিয়মিত গরম পানিতে ডিটারজেন্টের দিয়ে ধুইতে হবে ।
  • কাপড় গুলোর রোদ্রে খুব ভালো মতো শুখাইতে হবে।
  • যে বিছানায় বা চাদরে শোয়া হয় সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ।
  • ক্ষতস্থানে চুলকানোর পরে সেই হাত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে ।
  • খেয়াল রাখতে হবে, যার চুলকানি আছে তার জামাকাপড় বিছানার চাদর পরিষ্কার করা। পরিষ্কার করার আগে ব্যবহার না করা ।

খোস পাঁচড়া দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে খোস পাঁচড়া দূর করতে সাহায্য করে
  • চা গাছের তেল
  • ঘৃতকুমারী
  • লবঙ্গ এর তেল
  • নিমের নির্যাস সহ সাবান
  • নিম পাতা: পানিতে নিম পাতা মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে । সে পানি দিয়ে গোসল করালেও খোসপচড়া কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিম পাতা ও হলুদ একসঙ্গে মিক্স করে। ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও পুরানো খোস পাঁচড়া কমাতে সাহায্য করে ।
এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমেও ঘরোয়া উপায়ে খসড়া দূর করা যায়

লেখক এর মতামত

আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে খোসপচারা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি । এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে বা কোন উপকারে এসে থাকে । তাহলে আমারে পোস্টটি শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ রইলো । যেন সবাই জানতে পারে এবং সচেতন হতে পারে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url