গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম ও ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম নিয়মগুলো অনেকে জানতে চান। কিংবা জানার জন্য অনেক ওয়েবসাইট ঘাটা ঘাটি করেন। আজকে তাদের জন্য এই পোস্টটি ।মেথি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। যদি আপনি এ ব্যাপার গুলো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচের পয়েন্টটুকু ভালো করে পড়া অনুরোধ জানাচ্ছি।
গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার নিয়ম,মেথি খাওয়ার অপকারিতা ও পুরুষদের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম গুলো বা কি? সেগুলো জানতে নিজের পয়েন্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল ।

ভূমিকা

মেথি হল একটি ভেষজ যা লেবু জাতীয় পরিবারের অংশ। এটি প্রথম এশিয়ায় জন্মেছিল, কিন্তু এখন ভারত, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ফ্রান্স, স্পেন এবং আর্জেন্টিনা সহ বিশ্বের অন্যান্য অংশে জন্মে।প্রায় ৪,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে স্বাস্থ্যগত সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর বীজ সবচেয়ে পুষ্টিকর এবং যা প্রায়শই রান্নায় ব্যবহৃত হয়।

ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার নিয়ম

  • মেথির তৈরি চা: মেথির বীজের তৈরি চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া হজম ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের রাখার ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত কার্যকর! সামান্য জল দিয়ে কিছু মেথি বীজ বেটে নিন। একটি পাত্রে খানিকটা জল ফুটিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে ওই মেথি পেস্ট মিশিয়ে দিন। চাইলে এর সঙ্গে কিছু ভেষজ মশলাও দেওয়া যেতে পারে। যেমন, আদা বা দারচিনি। তার পর পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে একসঙ্গে সবকটি মশলা অন্তত ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন খালি পেটে এই চা খেতে পারলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • অংকুরিত মেথিবীজ: অংকুরিত মেথি বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই। এর বিভিন্ন খনিজ উপাদান পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিংক, যা হজম সহায়ক।একটি ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার মেথি-বীজ গুলোকে তিন রাত রেখে দিতে হবে। অংকুরিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নিয়মিত খালি পেটে এই বীজ খেলে দ্রুত ওজন কমবে।
  • ভাজা মেথি: পরিষ্কার শুকনো মেথি বীজ একটি পাত্রে অল্প আছে ভেজে নিতে হবে। এরপর মেথি গুলোকে গুঁড়ো করে নিতে হবে। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে গরম পানির সাথে এই মেথি গুঁড়ো খেতে হবে।
  • জলে ভেজানো মেথি: এক কাপ সাধারণ পানিতে এক চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জল থেকে মেথি ছেঁকে চিবিয়ে খেতে হবে। মেথির বীজ এভাবে খেলে খিদে পাওয়ার অনুভূতিটা অনেক কমে যায় ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • মধু, লেবু ও মেথির চা: মেথি প্রথমে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত পানি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে এর সাথে লেবুর রস মধু যোগ করে চা তৈরি করে নিন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে খালি পেটে এই চা খেলে আপনার দ্রুত ওজন কমবে চেহারা আকর্ষণীয় হবে।

মেথি খাওয়ার অপকারিতা

মেথি খাওয়ার এই সমস্ত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঝুঁকি ও রয়েছে।*আপনি যদি আগে কখনও মেথি না খেয়ে থাকেন, তবে খাবার আগে আপনার কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় কিনা নিশ্চিত করার জন্য অল্প পরিমাণে থাকা ভাল কারণ মেথি কিছু ব্যক্তির মধ্যে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
  • মেথিকে ব্যাপকভাবে নিরাপদ বলে মনে করা হয় তবে, অন্যান্য খাবারের মতো, এটি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া শরীরের উপরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
  • মেথি রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করাকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই যে কেউ রক্তচাপ বা ব্লাড সুগারের ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের মেথি খাওয়ার আগে তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরীক্ষা করা উচিত।
  • মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে মেথি রান্নায় বা সরাসরি গ্রহণ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সুপারিশ করা হয় না কারণ এটি গর্ভপাত এবং জন্মগত ত্রুটিগুলির সাথে যুক্ত ।
  • যারা হাঁপানের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মেথি ভেজানো পানি না খাওয়াই ভালো । কারণ এতে এজমা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা ঠান্ডা জনিত যে কোন অসুখ বেড়ে যেতে পারে।
  • যারা পাতলা পায়খানা, আই বি এস, গ্যাসট্রাইটিস বা এসিডিটি বা পেটের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মেথি ভেজানো জল বা অঙ্কুরিত মেথি বীজ না খাওয়াই ভালো কারণ এতে পেটের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • যারা শরীরের ত্বকের এলার্জিতে ভুগছেন বা চর্মরোগে ভুগছেন তাদের তাদের কাঁচা মেথি এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে চুলকানির সমস্যা বেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে মেথি খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
  • অনেক সময় মেথি খেলে গায়ে দুর্গন্ধ আসতে পারে। লক্ষ্য করুন যদি গায়ে দুর্গন্ধ আসে তাহলে মেথি আপনার জন্য না খাওয়াই ভালো।
  • শিশুদের মেথি খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যদি কখনো মেডি খাবার ফলে অজ্ঞান হওয়ার সমস্যা ঘটে তাহলে মেথি বর্জন করাই ভালো।
  • ব্লাড ডিসঅর্ডার বা রক্তের রোগ যেমন রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না এমন রোগীর ক্ষেত্রে মেথি না খাওয়া ভালো। কারণ মেথি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
  • নিয়মিত মেথি খেলে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যেতে পারে ফলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট এর তারতম দেখা দেয়।

ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম

  • ডায়াবেটিসের দ্রুত কমানোর জন্য ৫-৫০ গ্রাম গুঁড়ো মেথি বীজ প্রতিদিন এক বা দুই খাবারে ৪ দিন থেকে ২৪ সপ্তাহ ব্যবহার করা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মেথি বীজের নির্যাস প্রতিদিন ১ গ্রাম নিয়মিতভাবে খেয়ে যেতে হবে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ১ গ্রাম থেকে ২.৫ গ্রাম দিনে এক থেকে দুই বার খাওয়া উচিত। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দৈনিক ৫০ গ্রাম পর্যন্ত মেথি বীজের গুঁড়ো দিনে দুইবার খেলে প্রস্রাবে চিনির পরিমাণ কমে যায় বলে মনে করা হয়।
  • চার থেকে ছয় মাস দৈনিক ১০ গ্রাম মেথি খাওয়া এইচবিএ১সি এবং রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। “খাদ্যাভ্যাসে দৈনিক ১০ গ্রাম মেথি বীজ খাওয়া ‘প্রিডায়াবেটিস’ হওয়া থেকে দূরে রাখতে পারে।” এই তথ্যটি ‘ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিক ডিজঅর্ডার’ জার্নালে প্রকাশিত। নিয়মিতভাবে রক্তের সুগার পর্যবেক্ষণ করতে হবে কারণ শুধু মেথি বীজ একা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নাও করতে পারে তাই ওষুধ, খাদ্য অভ্যাস এবং ডাক্তারের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ।
  • উষ্ণ গরম পানির সাথে এক চামচ মেথি ১/২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপরে খেতে পারেন মেয়েদের সব উপকার পেতে। আপনি যখন চা পান করেন সে চা তৈরি করার সময়ও মেথি দিয়ে তৈরি করতে পারেন তাতে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মেথিতে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড এর মত উপকরণ যা আমাদের অগ্নাশয় ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত মেথি পানি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে বা অনেকটা ঝুঁকি কমিয়ে আনে।
  • আপনি কি যদি ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাহল নিয়মিত অংকুরিত মেথি খাওয়া উচিত। অংকুরিত মেথি খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর সেবনে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, অংকুরিত মেথি খেলে রক্তে অতিরিক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মেথি অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বাড়াই । সাথে সাথে অংকুরিত মেথি খেলে ওজন কমাত সাহায্য করে। মথিতে গ্যালাক্টোম্যানান নামে পরিচিত একটি পলিস্যাকারাইড রয়েছে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথিতে প্রায় ৭৫ শতাংশ দ্রবণীয় যফাইবার রয়েছে যা হজমের উন্নতিকরে, শরীরের অতিরিক্ত চবিকমাতে সাহায্য করে। মেথির অংকুরিত বীজ সকালে খালি পেটে খেতে পারেনা। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সকালে এবং রাতর খাবারের আধ ঘণ্টা আগে অংকুরিত মেথির বীজ খেত পারেন।বেশি কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য একটি পরিষ্কার গ্লাসে প্রথমে পানি নিয়ে নিন। 


পানিতে এক চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো মেথি ফুলে নরম হলে উঠলে পান করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য ভেজানো মেচিতে মধু অথবা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। আপনি আরো ভালো উপকার পাওয়ার জন্য এই নিয়মে ভেজানো মেথি খালি পেটে দিনে দুইবার খেতে পারেন। 


গবেষকদের মতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ দিনে দুইবার একটানা ভেজানো মেথি বা মিথের রস পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এ কথা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, মেথির তিক্ত স্বাদ ও গন্ধ অনেকেরই পেটের সমস্যা করতে পারে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পুরুষদের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

৪৯ অ্যাথলেটিক পুরুষদের ৮ সপ্তাহের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম মেথির সাথে সুষম খাবার গ্রহণ করলে টেসটোসটেরনের মাত্রা কিছুটা বেড়ে যায় এবং শক্তি এবং শরীরের চর্বি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত ঘটে।প্রোটোডিওসিন হল মেথিতে থাকা এক ধরনের স্যাপোনিন যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে বিশেষভবে কার্যকর হতে পারে।


৫০ জন পুরুষের মধ্যে ১২-সপ্তাহের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম মেথি গ্রহণ করেছেন। মেথিতে থাকা ঘনীভূত পরিমাণে প্রোটোডিওসিন তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।গবেষণায় দেখা গেছে যে ৯০% অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৪৬% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। 


আরও দেখা গিয়েছে মেথি গ্রহণকারী বেশিরভাগই মেজাজ, শক্তি, লিবিডো এবং শুক্রাণুর সংখ্যার উন্নতি লাভ করেছে ।৪৩-৭৫ বছর বয়সী ১২০ জন পুরুষের মধ্যে ১২-সপ্তাহের গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন ৬০০ মিলিগ্রাম মেথি বীজের নির্যাস গ্রহণ করেন তাদের টেসটোসটেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং লিবিডোর উন্নতি হয়।


যৌন কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য ৬০০ মিলিগ্রাম মেথি বীজের নির্যাস এর সাথে প্রতিদিন একা বা ম্যাগনেসিয়াম৩৪মিলিগ্রাম, জিঙ্ক ৩০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-৬ ১০ মিলিগ্র, ৬-১২ সপ্তাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।অংকুরিত মেথি ও মেথি ভেজানো জল দুইভাবেই খাওয়া যেতে পারে। পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে অংকুরিত মেথি ও মেথি ভেজানো জল কিভাবে তৈরি করব। 

আপনি পুরোপুরি পড়ে আসলে অবশ্যই জানতে পারবেন।এক্ষেত্রে মেথি বীজ এর পরিমাণ থাকবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম দিনে দুইবার। ভালো ফলাফলের জন্য খেতে হবে প্রায় ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত।

পুরুষদের জন্য মেথির উপকারিতা

মেথি পাতা, বীজ এবং অন্যান্য উদ্ভিদের অংশ প্রায়ই রান্না বা ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। মেথির নির্যাস টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে এবং অ্যান্টিক্যান্সার প্রভাব প্রদান করতে পারে।মেথি একটি শক্তিশালী ঔষধি গাছ। সম্প্রতি, মেথি টেসটোস্টেরনের মাত্রার উপর তার কথিত প্রভাবের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যার ফলে গবেষণা শুরু হয়েছে ।


এটি কম টেস্টোস্টেরনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় কিনা।এই গবেষণায় ২৫ হাজার পুরুষ অংশগ্রহণ করে ৩০ টি দেশ থেকে। যারা দিনে দুইবার মেথি পানি পান করেছিল তাদের সাপোনিস বা ডাইওসজেনিন শরীরের উপাদান খুব ভালো পরিমাণে দেখা যায়। এই উপাদান মানুষের শরীরে হরমোন এর স্তর বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।মেথি কি টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে? 


মেথি সম্পূরকগুলি প্রায়ই যারা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় খুঁজছেন তাদের দ্বারা ব্যবহার করা হয়। টেস্টোস্টেরন হল পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই একটি যৌন হরমোন যা যৌন ক্রিয়া, শক্তির মাত্রা, জ্ঞানীয় ফাংশন, হাড়ের স্বাস্থ্য, মেজাজ এবং আরও অনেক কিছুকে প্রভাবিত করে।আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার টেসটোসটেরনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। 

যদি স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, বা হাইপোগোনাডিজম এর মত সমস্যা ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৩৯% পুরুষদের প্রভাবিত করে বলে অনুমান করা হয়। এই অবস্থাটি সাধারণত হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। তবে অনেকে চিকিৎসার বিকল্প স্বরূপ ভেষজ সম্পূরক মেথিবীজ গ্রহণ করে।

লেখকের মতামত

পুরুষদের জন্য মেথির উপকারিতা গুলো কি? এবং মেথির উপকারিতা গুলো কি কি সবগুলো আপনাদের আজকে বিস্তারিত জানানোর আমি আফরান চেষ্টা করেছি। যদি আপনাদের পোস্টটি পড়ে কোন উপকারে এসে থাকে। বা ভালো লেগে থাকে অবশ্যই শেয়ার করে দেবেন আপনার প্রিয়জন বা বন্ধুদের সাথে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url