কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তালিকা

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তালিকা ও কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার তালিকা সম্বন্ধে বিস্তারিত আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। এ সম্বন্ধে পুরোপুরি জানতে হলে নিচের পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়া অনুরোধ রইল।
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তালিকা
আপনি কি জানেন কার্বোহাইড্রেট কাকে বলে?কার্বোহাইড্রেট এর সংকেত কি?কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার তালিকা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আপনার চেষ্টা করব আপনাদের ভালোমতো জানানোর জন্য।

কার্বোহাইড্রেট কাকে বলে 

কার্বোহাইড্রেট হল এক প্রকার ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দ্বারা গঠিত একপ্রকার রাসায়নিক যৌগ কে কার্বোহাইড্রেট বলে। কার্বোহাইড্রেট এ থাকে শর্করা, ফাইবার এবং স্টার্চ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এক কথায় বলতে "কার্বনের হাইড্রেট" এর সংমিশ্রণ হলো কার্বোহাইড্রেট। কার্বোহাইড্রেট "স্যাকারাইডস" নামেও পরিচিত যা গ্রীক শব্দ "সাকচারন" যার অর্থ সুগার থেকে এসেছে।

কার্বোহাইড্রেট এর সংকেত

(CH2O)n হল সমস্ত কার্বোহাইড্রেটের সাধারণ সূত্র। এই সূত্রটি শুধুমাত্র সাধারণ শর্করার জন্য প্রযোজ্য। এখানে কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং n এর মানে ভিন্ন ৩ (তিন) বা তিনের বেশি। যেমন গ্লুকোজ ( C6H12O6 ) স্টার্চ (C6H10O5)n।

কার্বোহাইড্রেট এর শ্রেণীবিভাগ 

স্বাদের উপর ভিত্তিতে কার্বোহাইড্রেট কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
  • স্বাদে মিষ্টি বা সুগার: সুক্রোজ ফ্রুকটোজ গ্লুকোজ
  • স্বাদে মিষ্টি নয় বা নন সুগার: গ্লাইকোজেন, সেলুলোজ, স্টার্চ
কার্বোহাইড্রেট এর আণবিক ধর্মের ভিত্তিতে শ্রেণীবিভাগ নিম্নরূপ:
  • মনোস্যাকারাইড:যেমন ট্রায়োজ,টেট্রোজ,পেন্টোজ,হেক্সোজ,হেপ্টোজ
  • ডাইস্যাকারাইড:যেমন সুক্রোজ, সেলোবায়োজ,ম্যালটোজ,ল্যাক্টোজ
  • অলিগোস্যাকারাইড: যেমন র‍্যাফিনোজ,স্কার্ডোজ
  • পলিস্যাকারাইড: যেমন গ্লাইকোজেন, সেলুলোজ, স্টার্চ, ইনুলিন
কার্বোহাইড্রেটের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলি:
গ্লুকোজ, গ্যালাকটোজ, মাল্টোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ, ল্যাকটোজ, স্টার্স, সেলুলোজ, চিটিন

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তালিকা

Simple Carbohydrates: সাধারণ কার্বোহাইড্রেট বা সহজ কার্বোহাইড্রেট হল মৌলিক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। এ কার্বোহাইড্রেট দ্রুত ভেঙ্গে শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে। সাধারণত এ খাবারগুলো: যেমন দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, ফল, ক্যান্ডি, ময়দা, কুকিজ, শাকসবজি, শস্য, প্রক্রিয়াজাত চিনি, কোমল পানীয়।


Complex Carbohydrates: জটিল কার্বোহাইড্রেট বা সরল কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস। ব্যায়াম, দৈনন্দিন কাজ এবং এমনকি বিশ্রামের জন্য এর প্রয়োজন। যেমন গোটা শস্য, শস্য বীজ, ডাল জাতীয়, বাদাম জাতীয়, শাকসবজির খোসা, ফলের খোসা
কার্বোহাইড্রেট উৎসের দিক থেকে দুইভাবে পাওয়া যায়
উদ্ভিদ উৎস:
  • গ্লাইকোজ- খেজুর,আপেল,আঙ্গুর
  • শ্বেতসার- আলু,কচু,গম,ভুট্টা।
  • ফ্রুক্টোজ- পাকাকলা,পাকা,আম,কমলা লেবু
  • সুক্রোজ- চিনি,গুড়,মিসরি।
  • সেলুলোজ -শাকসবজি, কাঁচা কলা,তরমুজ।
প্রাণিজ উৎস:
  • লেক্টোজেন- দুধ ও দুগ্ধজাত
  • গ্লাইকোজেন- প্রাণীর কলিজা ও পেশি,যকৃত

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার

পরিমাপ

পরিমাণ

শাকসবজি



আলু

৫.২আউন্স

২৬ গ্রাম

মিষ্টি আলু

১/২ কাপ

১৬ গ্রাম

সেদ্ধ আলু

১/২ কাপ

২৪ গ্রাম

বাঁধাকপি   কাঁচা

১ কাপ

৫ গ্রাম

ফুলকপি রান্না

১/২ কাপ

৫ গ্রাম

গাজর

১ কাপ

৫ গ্রাম

বরবটি  রান্না

১/২ কাপ

১৮ গ্রাম

বেগুন  রান্না 

১/২ কাপ

৫ গ্রাম

ব্রকলি  কাঁচা

১ কাপ

৫ গ্রাম

টমেটো  কাঁচা

১ কাপ

৫ গ্রাম

ভুট্টা

১/২ কাপ

১৮ গ্রাম

স্কোয়াশ

১ কাপ

২২ গ্রাম

মটরশুটি  কাঁচা

১কাপ

৫ গ্রাম

ফল  জাতীয় খাবার



আপেল

১/২ কাপ

১৫.২ গ্রাম

কলা

১/২ কাপ

১৫.২ গ্রাম

ব্ল্যাকবেরি

১/২ কাপ

১২ গ্রাম

ব্লুবেরি

১/২ কাপ

১৫.২ গ্রাম

চেরি

১/২ কাপ

২০ গ্রাম

পাকা আম

১/২ কাপ

২০ গ্রাম

আঙ্গুর

১/২ কাপ

২০ গ্রাম

জাম্বুরা



পেঁপে

১/২ কাপ

১২ গ্রাম

আনারস

১/২ কাপ

১৫.২ গ্রাম

স্ট্রবেরি

১/২ কাপ

৮.৪ গ্রাম

তরমুজ

১/২ কাপ

৮.৮ গ্রাম

বাদাম ও ডাল  জাতীয়



কাজুবাদাম

১ কাপ

১৩ গ্রাম

পেস্তাবাদাম

২ কাপ

১৬ গ্রাম

চিনাবাদাম

১ কাপ

১৪ গ্রাম

কাঠবাদাম

১ কাপ

১৪ গ্রাম

মাশকলাই

১ কাপ

১৮ গ্রাম

মটরশুটি

২ কাপ

২০ গ্রাম

মসুর

২ কাপ

২২ গ্রাম

দুধ  ও  দুধ জাতীয়



মিষ্টি দই

৩/৪ কাপ

৩৩ গ্রাম

টক দই

৩/৪ কাপ

১৫ গ্রাম

নারিকেলের দুধ

১ কাপ

৮ গ্রাম

দুধ (সাদা/বাটার)

১ কাপ

১২ গ্রাম

কনডেন্স মিল্ক

১/২ কাপ

১৪ গ্রাম

চকলেট মিল্ক

১ কাপ

২৬ গ্রাম

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার



আলুর চিপস

১ আউন্স

১৫ গ্রাম

মধু

১০০  গ্রাম

৮২ গ্রাম

পপকর্ন

৩ কাপ

১৫ গ্রাম

পাস্তা  রান্না

১ কাপ

৪৩ গ্রাম

স্যান্ডউইচ ক্রেকার

৪ কাপ

১৬ গ্রাম

ভ্যানিলা  ওয়েফার

৫ কাপ

১৪ গ্রাম

সস

২ চামচ

১৩.৫ গ্রাম

শস্য জাতীয়



রুটি

২ পিস

২০ গ্রাম

পাউরুটি

১   পিস

১৮ গ্রাম

ভুট্টা আটা রুটি

১  পিস

২৭ গ্রাম

ভুট্টা শুকনো

১ চামচ

১১.৫ গ্রাম

গম

১ কাপ

১৩ গ্রাম

ময়দা

১ চামচ

৪.৫ গ্রাম

ভাত

১ কাপ

৪৫ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার তালিকা 

  • মাছ:বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন সালমন, টুনা, সার্ডিন, কোহো ইত্যাদি। এগুলোতে কার্বোহাইড্রেট ছাড়া প্রোটিন ও অন্যান্য খাদ্য প্রাণ থাকে।
  • মাংস: গরু, মুরগি, বাকরি ইত্যাদির মাংস বা পোড়া মাংস সাধারণভাবে কার্বোহাইড্রেট থাকে না।
  • শাকসবজি: শাক সবজিতে মাত্র অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট থাকে না যেমন শিম ব্রকলি বাঁধাকপি,পালংশাক, লেটুস ইত্যাদি।
  • শুকনো ফল: কিশমিশ, আঙ্গুর, আলুবোখারা ইত্যাদি শুকনো ফলে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে।
  • বাদাম: বাদাম জাতীয় খাবারে প্রোটিন ও ফ্যাট থাকলেও খুবই কম মাত্রায় কার্বোহাইডেট থাকে।
  • ডিম: ডিমের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকলেও কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকে
  • হারবাল চা: বিভিন্ন প্রকারের হারবাল চা কার্বোহাইড্রেট মুক্ত থাকে।
  • দুগ্ধজাত: ফুলক্রিম যুক্ত দুধে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে।
  • তেল: বিভিন্ন প্রকারের তেল যেমন সয়াবিন, অলিভ অয়েল, নারিকেলের তেল, মাখনের মতো তেল ইত্যাদি কোন প্রকার কার্বোহাইড্রেট থাকে না।
  • চর্বি: প্রাণিজ চর্বি যেমন গরু ছাগল মহিষ ভেড়া ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত চর্বিতে নগণ্য পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে।

কার্বোহাইড্রেট এর উপকারিতা

কার্বোহাইড্রেট এর উপকারিতা দেওয়া হলো:
  • শক্তির উৎপাদন: কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তির উৎপাদনের জন্য প্রধান উৎস।
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্বোহাইড্রেট ভূমিকা পালন করে।
  • হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য: কার্বোহাইড্রেট খাদ্যের হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে উন্নত করে।
  • শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো: কিছু ধরনের কার্বোহাইড্রেট শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • মানসিক প্রশান্তি: কার্বোহাইড্রেট মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়।
  • হার্মোন বিন্যাসে সাহায্য: কিছু ধরনের কার্বোহাইড্রেট হার্মোন বিন্যাসে সাহায্য করে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশের কাজে লাগে।
  • দুর্বলতা নিয়ন্ত্রণ: কিছু ধরনের কার্বোহাইড্রেট দুর্বল স্বাস্থ্য সুষম করতে সাহায্য করে।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা: কার্বোহাইড্রেট এ রয়েছে প্রতিরোধশীল হার্মোন, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • শরীরের নিয়ন্ত্রণ: কিছু কার্বোহাইড্রেট সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে যুক্ত হয়ে শরীরের নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • দাঁতের সুরক্ষা: কার্বোহাইড্রেট গঠন দাঁতের সুরক্ষা করে এবং তাদের মজবুত রাখে।
  • অস্থি ও শারীরিক সুরক্ষা: কিছু ধরনের কার্বোহাইড্রেট অস্থি ও শারীরিক সুরক্ষা করে এবং তাদের মজবুত রাখে।
  • সংক্রমণ থেকে রক্ষা: কিছু কার্বোহাইড্রেট প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, যা ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
  • প্রাকৃতিক এনটিঅক্সিডেন্ট উৎপাদন: কিছু ধরনের কার্বোহাইড্রেট প্রাকৃতিক এনটিঅক্সিডেন্ট এর উৎপাদন করে, যা শরীরের অক্সিডেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।

FAQ

কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে কি হয়?
উত্তর: 
  • ওজন বৃদ্ধি,রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি, ক্লান্তি বা অবসান লাগা, কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা ..আরো বিস্তারিত জানতে..
প্রতিদিন কত গ্রাম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া উচিত?
উত্তর: 
  • প্রতিদিন একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির প্রয়োজনীয় ক্যালরির প্রায় ৪৫ থেকে ৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকা উচিত। প্রতি ২০০০-২৫০০ ক্যালোরির ভিত্তিতে ২২৫-৩১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট নেওয়া উচিত…. আরো বিস্তারিত জানতে..
কার্বোহাইড্রেট এর অভাবে কি হয়?
উত্তর:
  • শরীরের দ্রুত এনার্জির অভাব দেখা যায়।
  • মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
  • শরীরের মাংসপেশীর শক্তি এবং ক্ষমতা কমে যায়।
  • এর অভাবে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • কার্বোহাইড্রেট এর অভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত খাবারের অভাবে কেটোসিস অবস্থা তৈরি হতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট এর কারনে কি কি রোগ হয়?
উত্তর:
  • কার্বোহাইড্রেট এর কারনে যেসব সমস্যা ও রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে
  • ডাইবেটিস প্রাবণতা বা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • যা ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে।
  • রক্তের চর্বি এবং ব্লাড প্রেশার বাড়াতে পারে, যা হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • কোলোন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • কার্বোহাইড্রেট খাবারের ফলে গ্যাস এবং পেটে ভূট ভাট শব্দ হতে পারে।
  • কাজের কার্যক্ষমতা পরিবর্তন করতে পারে।
  • কিছু কার্বোহাইড্রেটের বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিক সিন্ড্রোম তৈরি করে।

লেখক এর মতামত

এখনকার সময় বেশিরভাগ মানুষই নিজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে খুব সচেতন। কি করলে তার ওজন ঠিক রাখা যায় এবং নিজেকে সুস্থ রাখা যায়। প্রিয় পাঠক আজকে কার্বোহাইড্রেট এর শ্রেণীবিভাগ এই সম্বন্ধে আপনাদের বিস্তারিত জানানো চেষ্টা করেছি। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টটি শেয়ার করে দেওয়া অনুরোধ জানাচ্ছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url