১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল ও ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার কোথায় আত্মসমর্পণ করে। এই সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের আজকে আমরা আপনাদের কিছু জানাতে চলেছি। বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল
যাদের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ও বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য গুলো নিয়ে নিচে বিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পুরোপুরি জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

নয় মাস রক্তক্ষয় যুদ্ধের পর,১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকায় আত্মসমর্পণ করে। যুদ্ধটি পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে একটি রাজনৈতিক সংগ্রাম হিসাবে শুরু হয়েছিল, যা ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার সাথে শুরু হয়। পূর্ব পাকিস্তান যেখানে বাংলাদেশ অবস্থিত, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনসংখ্যা ছিল। 

যেখানে পশ্চিম পাকিস্তান ছিল সেখানে পাঞ্জাবি এবং পশতুন জাতি। বাঙালিরা, যারা পাকিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ শতাংশ, তারা তাদের ক্ষমতা ও সম্পদের ন্যায্য অংশ থেকে প্রতারিত হয়ে আসছিল। বিজয় দিবসের দিন আমরা বাঙালি হিসেবে স্মরণ করি দেশের জন্য যারা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে, যেসব মা বোনেরা সম্ভ্রম হারিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন এবং বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল 

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জানেই না যে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সময় ছিল। আমরা বাঙালি, আর বাঙালি হিসেবে আমাদের সবারই জানা উচিত, আমাদের বিজয় দিবস সম্পর্কে।১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সেদিন পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকায় আত্মসমর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। বাংলায় পহেলা পৌষ । 


পৌষ মাসের ১ তারিখে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ঢাকায় আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী সেই দিন ঢাকার কেন্দ্রস্থল রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী যৌথ বাহিনীর প্রধান জেনারেল আর্জিত সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। সেই হিসেবে আজ ৬১ বছর পূর্তি হয়ে গেল মহান বিজয় দিবসের।

বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি প্রতি বছর বিজয় দিবসে স্মরণ করিয়ে দেয় নিরীহ বাঙালি সংগ্রামের কথা ও বাংলাদেশের স্বাধীন জাতি গঠন সারা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। এই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। বাংলাদেশ যে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তা পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। 


পশ্চিম পাকিস্তানের দমন নিপীড়ন সহ্য করেছে এই পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ বাঙালি রা। অন্যায়ের প্রতিবাদে খাটতে হয়েছে জেল। পশ্চিম পাকিস্তানের পাক হানাদার বাহিনীরা১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ রাতে ঘুমন্ত বাঙালিদের উপরে শুরু করে হত্যাও ধর্ষণ ।বাঙালিরা পাল্টা লড়াই করেছিল এবং রক্তক্ষয় যুদ্ধ রূপ নিয়ে নেয়। বাঙালির মধ্যে ছিল পশ্চিম পাকিস্তান থেকে দমন নিপীড়নের হাত থেকে স্বাধীন হওয়ার অদম্য আশা। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে শুরু হয়ে যায় স্বাধীনতা যুদ্ধ নয় মাস পর কাঙ্খিত সেই দিন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস। বিজয় দিবসের গুরুত্ব বাঙালির কাছে অনেক বেশি কারণ আজকে যদি বাঙালি জাতি স্বাধীন না হতো তাহলে কি হতো? আজও শাসন শোষণ বঞ্চনার স্বীকার হতে হত। তাহলে আজও বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র নামে পরিচিত হওয়া যেত না। 

রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সবক্ষেত্রেই আজও বঞ্চিত হয়ে যেতাম। মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার কোন সুযোগ থাকত না। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের দূরত্ব ছিল ১২০০ কিলোমিটার। আর এই ১২০০ কিলোমিটার দূর থেকেই তারা এই নিরীহ মানুষদের উপরে জুলুম করতে। কিভাবে তাদের শাসন করা যায় এখান থেকে শোষণ করা যায়। তারা বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চাই। 


আজকে যদি স্বাধীন না হতাম তাহলে এই মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার কোন অধিকার থাকতো না। তাহলে বুঝতেই পারছ বিজয় দিবসের গুরুত্ব কতটা বাঙ্গালীদের কাছে। ১৯৪০ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক লাহোরের প্রস্তাব তোলেন -যা ছিল স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালীদের জন্য পৃথক ভাবে একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন। 

শেখ মুজিবুর রহমান২৬ মার্চ ১৯১৭সালের সেনাবাহিনীদের হাতে বন্দী হওয়ার আগেই তিনি মুক্তিযোদ্ধার ডাক দিয়ে যান। নয় মাস রক্তক্ষয় যুদ্ধের পর সেই চূড়ান্ত বিজয় ১৬ ডিসেম্বর। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র বাংলাদেশ।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি প্রতি বছর বিজয় দিবসে স্মরণ করা হয় এবং এটি সারা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লাখ মানুষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং প্রায় অর্ধ কোটি নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বিজয়ের স্মরণে ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, যার ফলশ্রুতিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়। পাকিস্তান প্রজাতন্ত্র এবং বাংলাদেশ নামক সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাবেশে ভাষণ দেন। 


এই ভাষণের ফলে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পাই। ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।"ভাষণটি বাঙালি জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছিল। 

৩০ অক্টোবর ২০১৭ সালে, ইউনেস্কো ভাষণটিকে মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে একটি ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে যুক্ত করেছে। ২৫ মার্চ রাতে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানীতে "অপারেশন সার্চলাইট" শুরু করে। ঢাকার রাজপথে ট্যাংক গড়িয়েছে। সৈন্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি শহরের অন্যান্য অংশে অনেক বেসামরিক লোককে হত্যা করে। এটি প্রধান শহরগুলিকে পুড়িয়ে দেয়। 

পুলিশ এবং ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) এর প্রতিরোধকে চূর্ণ করে দেয়।২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতারের ঠিক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় ইপিআর ও পুলিশ ব্যারাকে হামলার বিষয়ে একটি বার্তা পাঠান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই বার্তাটি “স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র” থেকে ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে সম্প্রচারিত হয়েছিল । 

সারা বিশ্বের সংবাদপত্রে ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল।যুদ্ধটি পূর্ব পাকিস্তান এবং পরে ভারতকে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিহত করেছিল এবং নয় মাস স্থায়ী হয়েছিল। যুদ্ধটি ২০ শতকের সবচেয়ে সহিংস যুদ্ধগুলির মধ্যে একটি ছিল এটি বড় আকারের নৃশংসতা,১ কোটি শরণার্থীর দেশত্যাগ এবং পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা ৩০ লক্ষ লোকের হত্যার সাক্ষী ছিল। 


নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।বিজয় দিবস বাংলাদেশে একটি জাতীয় ছুটির দিন। দিনের শুরুতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এর পর বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ও আহত মুক্তিযোদ্ধারা যাবেন। 

পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ১৯৭২ সাল থেকে বিজয় দিবস উদযাপন হয়ে আসছে।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সিনেমা, সাহিত্য, স্কুলে ইতিহাস পাঠ, গণমাধ্যম এবং শিল্পকলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। উদযাপনের আচার ধীরে ধীরে অনেক অনুরূপ উপাদানের সাথে একটি স্বতন্ত্র চরিত্র লাভ করে।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, আনুষ্ঠানিক সভা, বক্তৃতা, অভ্যর্থনা এবং আতশবাজি প্রদর্শন।বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও রঙিন ফেস্টুন দিয়ে শহরের রাস্তা সজ্জিত করা এবং রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা, রাস্তা ও রাস্তার আলোকসজ্জা করা।

বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য

বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
  • ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস হলো ঐতিহাসিক একটি দিন যার মাধ্যমে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে।
  • বিজয় দিবসে বাংলাদেশ স্বাধীনতার অনুভূতি ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
  • ১৯৭১ সালে এই দিনে বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছিল এবং এই দিনটি দেশের ঐতিহাসিক মুক্তির ঘটনা প্রতিষ্ঠার স্মৃতিমূলক।
  • বিজয় দিবসে দেশবাসীরা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদদের সম্মানে ও উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
  • বাংলাদেশের বিজয় দিবস সম্পর্কে বিশেষ অনুষ্ঠান, সেমিনার, আলোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণীয়ভাবে উদযাপন করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার কোথায় আত্মসমর্পণ করে 

পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভক্তির গল্পটি দীর্ঘ এবং জটিল। এটি ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত করার সাথে শুরু হয়। বিভাজনটি ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে হয়েছিল, পাকিস্তানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ভারতে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।দুটি দেশ কখনই ঘনিষ্ঠ ছিল না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে এবং জয় করে তখন সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়। 


বাংলাদেশে বছরের পর বছর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার পর যুদ্ধটি হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি রক্তক্ষয়ী ও নৃশংস সংঘর্ষ।পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিকেল চারটা বেজে ২১ মিনিটে ঢাকার রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে এটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত বাংলার মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। 

বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ী হয়। ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও দেশের অনেক স্থানে পাকিস্তানী বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যায়। পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। বাংলাদেশের কাছে লজ্জা জনক পরাজয় পাকিস্তানের জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই একটি বড় ধাক্কা।


বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের পরাজয় ছিল দেশের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট। এটি একটি আঞ্চলিক শক্তি হওয়ার জন্য পাকিস্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সমাপ্তি চিহ্নিত করেছিল এবং অপমানজনক আত্মসমর্পণ ছিল একটি ঘা যা থেকে দেশটি এখনও পুনরুদ্ধার করতে পারেনি।১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি এবং একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সূচনা করে।

যুদ্ধটি নয় মাস ধরে চলেছিল এবং এর ফলে ত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি।

লেখকের মতামত

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জানেই না,যে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সময় ছিল। আমরা বাঙালি, আর বাঙালি হিসেবে আমাদের সবারই জানা উচিত, আমাদের বিজয় দিবস সম্পর্কে। কত জীবনের বিনিময়ে পাওয়া এই বিজয় দিবস। আজকে আপনাদের বিজয় দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি যদি আপনাদের এই পোস্টটি করে ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টটি শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url