ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়-তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় ও তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় গুলো কি তা আমরা অনেকেই জানতে চাই বা জানতে অনেক ইচ্ছুক। এই সম্বন্ধে জানতে আপনারা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। আজকে তাদের জন্যই আমার এই পোস্টটি।
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন,স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জানার জন্য আমরা আগ্রহী হয়ে। আজকে চলুন এ সম্বন্ধে কিছু তথ্য জেনে নেই। নিচের পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
ভূমিকা
আমাদের এই প্রত্যেকেরই খুব জানার আগ্রহ থাকে যে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে আমরা আমাদের ত্বকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারি। ঘরোয়া উপায়ে কি কি ব্যবহার করে আমরা আমাদের ত্বককে সুন্দর রাখতে পারি। ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে যেমন লেবু,টমেটো,মধু,শসা,কাঁচা,হলুদ ইত্যাদি।
এই উপাদান গুলো বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করলে আমরা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারি এবং বয়সের ছাপ অনেক অংশ কমে যায়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
ফর্সা ত্বকের জন্য যত্নের প্রয়োজন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং সূর্য থেকে সুরক্ষার অত্যন্ত জরুরী। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রত্যেকের ত্বক অনন্য। বাড়িতে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক বজায় রাখার জন্য এখানে কিছু সাধারণ টিপস রয়েছে।
- আপনার ত্বকে লেবু ব্যবহার করতে পারেন: লেবু হল সাইট্রিক ফল যা আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। লেবু ও মধু একত্রে মিশিয়ে সে তোকে ব্যবহার করতে পারেন এবং কিছুক্ষণ রেখেই পানি দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে ফেলুন। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আপনার ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করবে। ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
- কাঁচা হলুদ এর ব্যবহার: কাঁচা হলুদের রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা ত্বককে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করতে এবং পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ ব্যবহারে ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয় এবং টানটান হয়। কাঁচা হলুদ খেলেও শরীরের বিষাক্ত টক্সিন বের করেতে সাহায্য করে।
- কাঁচা দুধ ও মধু এর ব্যবহার: কাঁচা দুধ ও মধু এক চামচ করে নিয়ে একত্রে মিশিয়ে আপনি আপনার ত্বকে এপ্লাই করতে পারেন। ৫-১০ মিনিট রেখে দেওয়ার পরে মুখটা অনেক টানটান হয়ে উঠবেন তখন নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক অনেক প্রাকৃতিক ভাবেই উজ্জ্বল করবে।
- টমেটো এর ব্যবহার: টমেটো পেস্ট করে নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একত্রে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপরে আপনি আপনার ত্বকে গলায় হাতে পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার ত্বকের লোমগুলো থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে এবং রোদে পড়া ভাব থেকে দূর করবে প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল হবে।
- টক দই এর ব্যবহার: টক দইয়ে আমাদের ত্বককে অ্যাফিলিয়েট করতে সাহায্য করে। আপনার ত্বককে প্রাণবন্ত করতে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপনার ত্বকে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- কমলার খোসা: কমলার খোসা দিয়েও আপনার ত্বকে পরিষ্কার করতে পারেন। তা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
- চন্দনের গুঁড়ো: ত্বকে চকচকে করতে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের গুড়োর কোন জুড়ি নেই। চন্দনের গুড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এটাও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
- মসুরের ডাল: মসুরের ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্লেন্ডারে পেস্ট তৈরি করুন এরপরে এ পেস্ট এর সঙ্গে হালকা দুধ মিশিয়ে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের পোড়া ভাবএবং কালো ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়
আরো পড়ুন:টমেটো দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- বাদাম: বাদাম পেস্ট করে নিয়ে এর সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। বাদাম আপনার ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর করতে সাহায্য করবে। এতে আপনার তখন অনেক উজ্জ্বল হবে।
- অ্যালোভেরা: সোজাসুজি এলোভেরার পাতা থেকে এলোভেরা জুস বের করে নিয়ে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এটা প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই ত্বকে ব্যবহার করার পরে এলার্জিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে এটা এড়িয়ে চলাই ভালো।
- টমেটো: টমেটো পেস্ট করে নিয়ে এর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
- ডিমের সাদা অংশ ও লেবু: ডিমের সাদা অংশ সাথে লেবু একত্রে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করবে। এবং লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড যা আপনার ত্বকের তেল তেল ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
- মধু: মধু আপনি আপনার ত্বকের ব্যবহার করতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রাখার পরে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখা: নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। ক্ষারীয় সাবান মুখে ব্যবহার করা যাবে না। হালকা গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
- বেসন এর ফেসপ্যাক: অনেক আগে থেকেই ত্বকে বেসনের ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ বলা হয় বেসন কে। বেসন আপনার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বেসন এর সাথে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপরে এই পেস্ট আপনি আপনার মুখে হাতে গলায় পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর সাথে সাথে ত্বক কে উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করবে।
- শসা ও পুদিনা: আপনারা সবাই জানেন পুদিনা তে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আপনার ত্বকের ব্রণের ভাব কমাতে সাহায্য করবে। শসা ও পুদিনা পাতা একত্রে পেস্ট তৈরি করে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসপ্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
- কমলার ফেসপ্যাক: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কমলার ফেসপ্যাক জুড়ি মেলা ভার। কমলার খোসা, দুধ, ও হলুদ একত্রে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিয়ে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। হালকা শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা যেমন বাড়াবে তেমনই ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করবে। এই ফেসপ্যাকটি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
- কলা এর ফেসপ্যাক : কলা যেমন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তেমনটি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। একটি কলা ভালোমতো ম্যাশ করে নিয়ে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এরপরে হালকা শুকিয়ে এলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরেই ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব ভালো একটি উপায়।
- শসা ও গোলাপজল: শসা আপনার ত্বককে টানটান রাখতে এবং পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শসা ভালো মতো পরিষ্কার করে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন ।এরপরে এর সাথে গোলাপজল মিস করে আপনি আপনার ত্বকে এপ্লাই করতে পারেন। এই মাস্কটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ত্বকে রেখে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই তিন দিন করতে পারেন। এই মাক্স টি আপনার টককে অনেক সতেজ সুন্দর ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করবে।
- লেবুর রস ও মধু : মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ এর মত লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এরপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট তোকে রেখে দিবেন। তারপরে নরমাল পানি দিয়ে ভালোমতো আপনার মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যা থাকলে দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
গ্রীষ্মে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:
- মৃদু ক্লিনজিং: অতিরিক্ত তেল, ঘাম এবং অমেধ্য অপসারণের জন্য একটি মৃদু, ফোমিং বা জেল-ভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার আপনার মুখ পরিষ্কার করুন।
- তেল-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার: অতিরিক্ত তেল যোগ না করে আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে একটি হালকা তেল-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- সানস্ক্রিন: সর্বদা অন্তত SPF 30 সহ একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- ব্লটিং পেপার: দিনের বেলা অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে হাতে ব্লটিং পেপার রাখুন। আপনার মেকআপ ব্যাহত না করে তেল অপসারণ করতে আপনার মুখকে আলতো করে ব্লট করুন।
- এক্সফোলিয়েশন: নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে যা আটকে থাকা ছিদ্রগুলিতে অবদান রাখতে পারে। অতিরিক্ত তেল জমা হওয়া রোধ করতে সপ্তাহে ১-২ বার একটি মৃদু এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন।
- কুলিং মাস্ক: আপনার ত্বককে প্রশমিত ও সতেজ করতে শসা বা অ্যালোভেরার মতো উপাদান সহ কুলিং মাস্ক ব্যবহার করুন। ক্লে মাস্কও তেল নিয়ন্ত্রণে করতে ভালো কাজ করে।
- ভারী মেকআপ এড়িয়ে চলুন: গরম এবং আর্দ্র দিনে, হালকা মেকআপ, তেল-মুক্ত এবং নন-কমেডোজেনিক মেকআপ পণ্যগুলি বেছে নিন। ভারী মেকআপ তাপ আটকাতে পারে এবং অতিরিক্ত তেল উৎপাদনে অবদান রাখতে পারে।
- সূর্যের আলো থেকে ত্বকে রক্ষা: প্রতিদিন অন্তত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সূর্যের সংস্পর্শে এলে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরুন। যেমন টুপি এবং লম্বা হাতা আলা জামা পরিধান করা।
- নিয়মিত মুখমন্ডল পরিষ্কার রাখা: ময়লা এবং অমেধ্য দূর করতে আপনার মুখমণ্ডল প্রতিদিন দুবার পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। আপনার ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভিটামিন সি, নিয়াসিনামাইড এবং আলফা আরবুটিনের মতো ত্বককে উজ্জ্বল করার উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
- স্বাস্থ্যকর ডায়েট: ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা:প্রচুর পানি পান করলে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং অ্যালকোহল পরিহার করুন: ধূমপান অকাল বার্ধক্য এবং বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যা আপনার শরীরের জন্য এবং আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। যাতে আপনার ত্বক পুনরুজ্জীবিত হয়।
- ঘরোয়া প্রতিকার: কিছু লোক ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য দই, মধু, লেবু বা হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে। যাইহোক, সতর্কতা অবলম্বন করুন কারণ কিছু উপাদান নির্দিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে জ্বালা বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
- একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন: আপনার যদি আপনার ত্বকের বিষয়ে নির্দিষ্ট উদ্বেগ থাকে তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তারা ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রদান করতে পারে এবং আপনার ত্বকের ধরণের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত পণ্য বা চিকিত্সা দিতে পারে।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
- কাঁচা হলুদ ও দুধ এর ব্যবহার: কাঁচা হলুদ ও দুধ একত্রে ব্লেন্ড করে নিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। হলুদ আপনি দুধের সঙ্গে মিশিও খেতে পারেন যা আপনাকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
- টক দইয়ের ব্যবহার: আপনার মুখমন্ডলের টক দই ও লেবুর রস,মধু একত্রে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনাকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। টক দই ও লেবুর রস আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করবে।
- মুখ পরিষ্কার রাখা: মণ্ডল নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।
- ব্লটিং পেপার: দিনের বেলা অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে হাতে ব্লটিং পেপার রাখুন। আপনার মেকআপ ব্যাহত না করে তেল অপসারণ করতে আপনার মুখকে আলতো করে ব্লট করুন।
- পানি পান করা: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
- এক্সফোলিয়েশন: নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করলে আপনার ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে। আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
- ঠান্ডা মাস্ক ব্যবহার করা: আপনার ত্বককে সতেজ করতে শসা বা অ্যালোভেরার মতো উপাদান সহ কুলিং মাস্ক ব্যবহার করুন।
- প্রতিরক্ষামূলক পোশাক: সরাসরি সূর্যের এক্সপোজার থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করার জন্য টুপি এবং হাতা যুক্ত জামা ব্যবহার করুন। এটি সূর্যের ক্ষতির কারণে অতিরিক্ত তেল উত্পাদন প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
মনে রাখবেন যে প্রত্যেকের ত্বক আলাদা আলাদা তাই আপনার ত্বকের প্রয়োজন অনুসারে কি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে তা একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়ায় ভালো।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন
দাগ হীন ,উজ্জ্বল, মসৃণ ত্বক সবারই পছন্দ কে না চায় তাকে সুন্দর দেখাইতে সবাই সেটা চায়। কিন্তু এই দাগ হীন মসৃণ ত্বক পেতে কিছু সময় দিতে হয়। আমরা আমাদের ঘরে থাকা বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যেগুলো দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারি। এর মধ্যে যেগুলো রয়েছে সেগুলো নিম্নে দেওয়া হলো:
- অ্যালোভেরা
- কাঁচা হলুদ
- দুধ
- টমেটো
- টক দই
- শসা
- কমলা
- মধু
- লেবু
- কলা
- পুদিনা
- চন্দনের গুঁড়ো
- বেসন
- বাদাম
এই এই উপকরণ দিয়ে আমরা খুব সহজেই ত্বকের যত্ন নিতে পারি। এই উপকরণগুলো আমরা খুব সহজেই ঘর থেকেই পেয়ে থাকি। যা থেকে আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারি। তবে একটা বিষয় আমাদের সকলেরই মাথায় রাখা উচিত। সেটা হল এই উপকরণগুলো ব্যবহার করার পর যদি আমাদের মধ্যে কারো এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সে উপকরণটি বাদ দেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: চিরতরে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়
লেখক এর মতামত
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন কি কি ভাবে নেওয়া যায়। কেমন ভাবে নিলে ত্বকটি ভালো থাকে বা ভালো রাখা যায়। সে সম্বন্ধে আপনাদের জানানোর আমার তরফ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি এই পোষ্টের মাধ্যমে। যদি এই পোষ্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url