চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ও গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় গুলো নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি। প্রিয় পাঠক আজকে গ্যাস্ট্রিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে নিচের পয়েন্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়,গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয় ও পেটে গ্যাস এর লক্ষণ গুলো কেমন হয় এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের জানাতে চলেছে। চলুন তাহলে পড়া শুরু করা যাক।

ভূমিকা

গ্যাস্ট্রিক এমন এক ধরনের সমস্যা। যা প্রায় সময়ে আমাদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই গ্যাস এর সমস্যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। মসলাযুক্ত খাবার, অনেক তেল চর্বি আছে এমন খাবার প্রায় খেতে থাকলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন উপায় বা মাধ্যম খুঁজে থাকে। সেগুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত আপনাদের জানাতে চলেছি।

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় 

আমি একজন ডাক্তার নই। তবে আমি কিছু সাধারণ পরামর্শ দিতে পারি যা গ্যাস্ট্রিক বুকের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। আরো সঠিকভাবে জানতে হলে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাসের সমস্যা বদহজমের থেকেই সৃষ্টি হয়। এখানে গ্যাস্ট্রিকের বুক ব্যথা দূর করার উপায় নিম্নে কিছু আলোচনা করা হলো:
  • অ্যান্টাসিড: অ্যান্টাসিড পাকস্থলীর অ্যাসিড নিরপেক্ষ করে এবং আপনাকে আরাম দিতে পারে। এগুলি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। যেমন ট্যাবলেট বা লিকুইড ফরমেট সিরাপ আকৃতিতে পাওয়া যায়। এই সিরাপ খাওয়ার সাথে সাথেই অনেকটা আরাম অনুভূত হয়।
  • গ্যাস যেগুলোতে বাড়ে সে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা: গ্যাস্ট্রিক সমস্যাগুলিকে খারাপ করতে পারে এমন খাবারগুলি সনাক্ত করুন এবং এড়িয়ে চলুন। সাধারণ ট্রিগারগুলির মধ্যে রয়েছে মশলাদার বা অ্যাসিডিক খাবার, সাইট্রাস ফল, ক্যাফেইন এবং চর্বিযুক্ত বা ভাজা খাবার।
  • বেশি পানি পান করা: অনেক বেশি পানি পান করলে হজমের সহায়তা করে। এতে আপনার এসিডিটি পরিমাণও কমে যায়। তাই বেশি পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন।
  • বদ অভ্যাস গুলো দূর করুন: বদ অভ্যাস যেমন ধূমপান করা বা জর্দ খাওয়া,  মদ খাওয়া ইত্যাদি খাবার গুলো এড়িয়ে চলা চেষ্টা করুন। এগুলোর কারণেও অ্যাসিডিটির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।
  • খাবার পরেই শুয়ে পড়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন: খাবার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া কারণেও আপনার হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং পরবর্তীতে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি চলাফেরা করার চেষ্টা করুন ।তাতে আপনার খাবার হজম হতেও সাহায্য করবে।
  • ছোট, আরও ঘন ঘন খাবার খান: একবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করুন, পেটের অত্যধিক অ্যাসিড উত্পাদন প্রতিরোধে সাহায্য করবে। 
  • একবারের না খেয়ে থাকা এড়িয়ে চলা: একবারে এক সন্ধ্যার খাবার না খেয়ে ডায়েটিংয়ে করলে এসিডিটির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতি সন্ধ্যায় অল্প অল্প পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা উচিত।
  • আদা: কিছু লোক আদা খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পান, হয় আদা চা বা আদা খেতে পারেন।
  • ব্যায়াম করা: গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে ।যেগুলো নিয়মিত করলে আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আপনি যদি তীব্র বুকে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বুকে ব্যথা গুরুতর হৃদরোগ সহ বিভিন্ন অবস্থার একটি উপসর্গ হতে পারে।

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

আমি একজন ডাক্তার নই, তবে আমি কিছু সাধারণ পরামর্শ দিতে পারি যা গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণগুলি পরিচালনা এবং কমাতে সাহায্য করতে পারে।আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুসারে ব্যক্তিগতকৃত পরামর্শের জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবী সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন: যদি আপনি মনে করেন আপনার প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে তাহলে। দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • ওষুধ: আপনার যখন প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে তখন ওষুধ না খেয়ে বসে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। প্রথমে আপনাকে ওষুধ খেয়ে গ্যাসের প্রকোপ টা কমিয়ে এনে তারপরে আপনি ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলতে পারেন। তাতে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে।
  • খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন: অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার, মসলাযুক্ত খাবার, অনেক ঝাল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এই খাবারগুলো গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • এসিডিটি হয় এমন খাবার গুলো এড়িয়ে চলা: গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন খাবারগুলি বেছে নিন এবং সেগুলো বাদ দিন। এর মধ্যে রয়েছে যেমন মশলাদার বা অ্যাসিডিক খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং চর্বিযুক্ত বা ভাজা খাবার ইত্যাদি।
  • ভালো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন: সহজে হজম হয়, বিরক্তিকর নয় এমন খাবার, যেমন প্লেইন ভাত, কলা, আপেল সস এবং টোস্ট (BRAT ডায়েট) বেছে নিন। যে আপনার পেট কে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
  • প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার: প্রোবায়োটিকগুলি পাচনতন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সুস্থ ভারসাম্য উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার যেমন দই। এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা আমাদের শরীরকে ভালো রাখতে এবং পাচনতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ধরনের খাবার গুলো খাওয়া উচিত।
  • নিয়মিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন: এক সন্ধ্যা না খেয়ে আরেক সন্ধ্যা খাও এ ধরনের অভ্যাস এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কারণ পেট ফাঁকা হলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই অল্প অল্প পরিমানে খাবার খাওয়া। এবং প্রত্যেক সন্ধ্যায় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা।
  • হাইড্রেশন: হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। ক্যাফিনযুক্ত বা কার্বনেটেড পানীয়ের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
  • অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন: অ্যালকোহল এবং ধূমপান উভয়ই পেটের আস্তরণে জ্বালাতন বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা আরো খারাপ করতে পারে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় 

এখানে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি উপায় গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
  • আদা: আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। আপনি আদা চা খেতে পারেন, আদার টুকরা চিবিয়ে খেতে পারেন বা আদার পরিপূরক খেতে পারেন। অতিরিক্ত আদা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • ব্যায়াম করা: আপনি যদি গ্যাসের সমস্যায় ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন। তবে হালকা কিছু ব্যয়াম আছে যেগুলো আপনাকে প্রশান্তি দিতে পারে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যা থাকলে কিংবা হার্টের সমস্যা থাকলেও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি অন্য কোন সমস্যা না থাকে তবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • দারচিনি: 
  • লেবু পান করা: 
  • পুদিনা পাতার রস: পুদিনা পাতার রস যদি আপনি কাঁচা খেতে না পারেন তাহলে হালকা ফুটিয়ে সে পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। যা আপনার পেট ফাঁপা ,বমি বমি ভাব, গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া: ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খেলে তা আমাদের হজমতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাষন তন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য গ্যাসের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া।
  • জিরা পানি পান করা: জিরা ভিজিয়ে রেখে জিরা পানি পান করলেও আপনার গ্যাসের সমস্যা যেন অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • হারবাল চা পান করা: হার্বাল চা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটা আমাদের পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবং বদহজম ,গ্যাস্ট্রিক, এসিডিটির  সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • অ্যালোভেরা শরব: এলোভেরা যেমন আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী তেমন হজমতন্ত্র উন্নত করতেও সাহায্য করে। এলোভেরা শরবত নিয়মিত পান করতে পারলে আপনার পেটের ফোলা ভাব বা বমি বমি ভাব গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে।
  • কলা: কলা একটি মসৃণ এবং সহজে হজমযোগ্য ফল যা একটি জ্বালাপোড়া পেট প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • মৌরির বীজ: এক চা চামচ মৌরি বীজ চিবিয়ে খেলে বদহজম এবং ফোলাভাব দূর হয়।
  • প্রোবায়োটিকস: প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা, যেমন লাইভ কালচার সহ দই, কেফির, বা সারক্রাটের মতো গাঁজানো খাবারগুলি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলির স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • আপেল সাইডার ভিনেগার: কিছু লোক এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ কাঁচা, ফিল্টার না করা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য, কারণ ভিনেগার কিছু ব্যক্তির অম্বলকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। যদি আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগ থাকে তাহলে সঠিক নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিত্সার জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা পেট এবং পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এমন  কি এটি বুক ব্যথার কারণও হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয় এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
  • গ্যাস্ট্রাইটিস: পাকস্থলীর প্রদাহ, যা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন, দীর্ঘমেয়াদী NSAIDs (ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস) বা মানসিক চাপ সহ বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে।
  • পেপটিক আলসার: পেটের খাদ্যনালির ভিতরের ঘা।  যা ছোট অন্ত্র বা খাদ্যনালীর ভিতরের আস্তরণে হয়ে থাকে। এগুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ (হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি), দীর্ঘমেয়াদী NSAIDs ব্যবহার, অত্যধিক পেটে অ্যাসিড উৎপাদন বা অন্যান্য কারণের কারণে হতে পারে।
  • গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD): GERD এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়মিতভাবে উপরের দিকে উঠে আসে যার ফলে অম্বল,বুক জ্বলা এবং বুকে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
  • গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস: পেট এবং অন্ত্রের প্রদাহ। প্রায়শই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। এটি বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথার মতো উপসর্গের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS): IBS  হল একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার। যার ফলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব এবং অন্ত্রের অস্থিতিকর অবস্থার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যার কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই।
  • ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (IBD): IBD ফলে ক্রোনস ডিজিজ এবং আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো অবস্থার সৃষ্টি করে। এর মধ্যে পাচনতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী  প্রদাহও জড়িত, যা পাকস্থলীকেও প্রভাবিত করে।
  • পিত্তথলির প্রদাহ: কখনও কখনও পিত্তথলিতে পাথর তৈরি হয় এবং পিত্তথলিতে প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব,গ্যাস্ট্রিক এবং বদহজম হয়।
  • পেটের ক্যান্সার: গ্যাস্ট্রিক সমস্যাগুলির মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সারও অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে যেখানে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা অন্যান্য ঝুঁকির কারণ রয়েছে।
  • ডিসপেপসিয়া: ডিসপেপসিয়া হল পেটের উপরের অংশে ক্রমাগত বা বারবার ব্যথা বা অস্বস্তি দ্বারা চিহ্নিত একটি অবস্থা।
  • গ্যাস্ট্রোপেরেসিস: গ্যাস্ট্রোপেরেসিস এমন একটি অবস্থা যেখানে পেট তার খাদ্যদ্রব্য হজম করতে খুব বেশি সময় নেয়, যার ফলে বমি বমি ভাব, বমি,গ্যাস্ট্রিক এবং পেটে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
  • ডিপ্রেশন:  যেসব ব্যক্তিরা ডিপ্রেশন বা অনিদ্রাই ভুগেন  তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সহ মাথা ব্যথা পেটের অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। তারা নিয়মিত  গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগেন।

পেটে গ্যাস এর লক্ষণ

পেটে গ্যাসের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • বুক জ্বালা করা।
  • মুখ দিয়ে পেট থেকে গ্যাস নির্গত হওয়া।
  • বমি বমি ভাব  লাগা।
  • বমি হওয়া।
  • পেটে পূর্ণতাভাব লাগা।
  • পেট ব্যথা করা।
  • পেট ফাঁপা বা ফোলাভাব।
  • ঢেকুর ওঠা।
  • টক ঢেকুর ওঠা।
  • অস্বাভাবিক  পেটের গুড়গুড় শব্দ  হওয়া ।
  • বেশি পরিমাণে মলদ্বারের বায়ু নির্গত হওয়া।
  • খাবার অরুচি লাগা।
  • ওজন কমে যাওয়া।
  • ক্লান্তি ভাব লাগা।
  • তীব্র মাথাব্যথা করা।
  • অনিদ্রা।
  • ম্যানিয়া বা মানসিক অস্থিরতা।

FAQS

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না?
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক হতে পারে এমন খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে:
  • কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচারসুন, কাঁচা শাকসবজি, ব্রোকলি, বাঁধাকপি,ফুলকপি, মুলা, আপেল, পেয়ারা, পাকা কাঁঠাল, কচু।
  • ডাল জাতীয় খাবার যেমন মসুর ডাল, মটরশুটি, বুট ডাল, কাঁচা ছোলা ডাল,পপকর্ন, উচ্চ প্রোটিন ফাইবার ও সুগার জাতীয় খাবার, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় জাতীয় খাবার।
গ্যাস্ট্রিকের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?
গ্যাস্ট্রিকের সবচেয়ে ভালো ঔষধ এর নাম নিচে দেওয়া হল:
  • Cap. Lanso D 30mg (Dexlansoprazol)
  • Cap. Sergel 20mg (Esomeprazol)
  • Cap. Losectil 20mg (Omeprazol)
  • Cap. Vonix 20mg (Vonoprazan)
  • Tab. Rabe 20mg (Rabeprazole)
  • Tab. Famotack 20mg (Famotidine)
  • Syr. Entacyd/ Gavisol (Antacid)

লেখক এর মতামত

প্রিয় পাঠক আজকে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে গ্যাসট্রিক সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলারএবং আপনাদের জানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে কিংবা আপনাদের উপকারে এসে কথা থাকে।তবে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুকিটাকিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url